কে এম মিঠু, গোপালপুর :
চাঁদসুরুজকে সাক্ষী রেখে স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষনের অভিযোগে এক ভন্ড স্কুল শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামে।
গোপালপুর থানা পুলিশ জানায়, ধোপাকান্দি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. মন্টু মিয়া প্রাইভেট পড়ার ছলে একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সখিনা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সখিনার অভিযোগ, শিক্ষক মন্টু মিয়া তার সাথে তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে টাঙ্গাইল শহরে এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে চাঁদসুরুজকে সাক্ষী রেখে তাকে বিয়ে করেন এবং গোপনে গড়ে তোলেন শারীরিক সম্পর্ক।
গত শনিবার রাতে মন্টু মিয়া গোপনে সখিনার বাড়িতে রাত নিবাসকালে গ্রামবাসি তাকে আটক করেন। পরে তাকে গনপিটুনি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে আহত মন্টু মিয়াকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসেন। সখিনার বাবা শেখ সাদী বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মন্টু মিয়াকে গতকাল রবিবার আদালতে চালান দিলে জেলহাজতে পাঠায়।
এদিকে শিক্ষক মন্টুকে সাসপেন্ড এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট আব্দুুল গফুর জানান, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। এমন ভন্ড শিক্ষকের স্কুলে চাকরি করার অধিকার নেই। অতিদ্রæত ম্যানেজিং কমিটিরি মিটিং ডেকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শিক্ষক মন্টু মিয়া দুই সন্তানের জনক। বিয়ের নামে প্রতারনা করে নাবলিকা স্কুল ছাত্রীকে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। রবিবার টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে।